তালিকা

আধুনিক বাঙালির ফেভারিট লোকেশ
 তীব্র গরমে সমস্যা ও প্রতিকার

                                 

                                         

       গরম তো আছেই, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশ এবং পৃথিবীর আরও কিছু অংশে । আর সে গরমের তীব্রতা বাড়লে বেশ কিছু সমস্যাও দেখা দেয়।  সেই সব সমস্যার মধ্যে রয়েছে হিট একজশন ( Heat exhaustion ) , হিট ক্র্যাম্পস ( Heat cramps) , হিট স্ট্রোক ( Heat stroke) ইত্যাদি । আর এই সব সমস্যা বেশি হয় বয়স্ক বা শিশুদের, অথবা যাঁদের কোনো গুরুতর অসুখ আছে তাঁদের। সুতরাং এঁদের ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

    প্রচণ্ড গরমের ফলে আমাদের দুর্বল লাগে, কাজ করার ইচ্ছে থাকে না, অস্বস্তি লাগে ।  এই অবস্থাকে হিট একজশন বলা হয়। কিছুই ভালো লাগে না , কথা বলতেও ইচ্ছে করে না। বিশেষ করে হঠাৎ করে পরিবেশের তাপমাত্রা ও   আর্দ্রতা বেড়ে গেলে এরকম হয়।

    আবার কখনও হাত-পায়ের পেশীর বিক্ষেপ হয়, যাকে হিট ক্র্যাম্পস বলা হয়। ফলে, রোগীর অবস্থা বেশ কাহিল হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে সাংঘাতিক অবস্থা হল হিট স্ট্রোক। এতে রোগীর রক্তচাপ কমে যায়,  হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, কথা বন্ধ হয়ে যেতে পারে,  চেতনা লুপ্ত হয়ে যেতে পারে ,এবং রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন  ।

    এই সব সমস্যা যাতে না হয় তা দেখতে হবে । আর সমস্যা যদি হয়ই, তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। সবারই এই ব্যাপারে কিছুটা ধারণা থাকা দরকার।

    এই সব সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, যেমন...

    প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া : ভীষণ গরমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় আর তা পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে জল এবং জলীয় পদার্থ শরীরেচ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তরমুজ জাতীয় ফল থেকে শরীরে জলীয় পদার্থের প্রয়োজন অনেকটাই মেটে। আর যদি ডায়রিয়া, বমি, জ্বর প্রভৃতি থাকে  তাহলে তো জল বেশি করে খেতেই হবে। ডাবের জল ফলের রস এসব খাওয়া ভালো। যদি ডিহাইড্রেশন হয়, নুন চিনির জল , ওরাল রিহাইড্রেশন স্যলুশন এইসব খাওয়াতে হয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

      হাল্কা সুতির জামা পরা ভালো : বাইরে বেরোলে ছাতা  , রোদচশমা , টুপি ব্যবহার করা দরকার। খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। বিশেষ করে শিশু বা বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে এটা ভীষণভাবে প্রযোজ্য। হঠাৎ শরীর খারাপ লাগলে ছায়াঢাকা জায়গায় চলে যেতে হবে। গরমের মধ্যে খুব বেশি পরিশ্রম না করাই ভালো।

     স্বাস্থ্যকর খাবারদাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বাইরের খাবার বুঝেসুঝে খেতে হবে। শাকসব্জি  , ফল বেশি করে খেতে হবে । পাখা  , এয়ার কন্ডিশনার , কুলার এইসব ব্যবহার করে যথাসম্ভব শীতল পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

     হিট একজশন হলে চলে যেতে হবে ঠান্ডা জায়গায়, যেখানে পাখা এবং এয়ার কন্ডিশনার থাকবে । প্রচুর জল এবং জলীয় পদার্থ গ্রহণ করতে হবে।

   হিট ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্রাম নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

    হিট স্ট্রোক হলে খুব দ্রুত শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে হবে। রোগী যদি আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকেন তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইন দিতে হয় এবং আনুষঙ্গিক চিকিৎসা করতে হবে। সর্বোপরি এই সব ব্যাপারে সবার জানা দরকার এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।

     সুতরাং, গরমকে অত ভয় না পেলেও হবে, খালি একটু সতর্ক থাকলেই যথেষ্ট।


সাবস্ক্রাইব
অবহিত করুন
guest
0 টি মন্তব্য
ভোটপ্রাপ্তি অনুসারে
নতুন থেকে পুরোনো পুরোনো থেকে নতুন
ইনলাইন প্রতিক্রিয়া
সকল মন্তব্য দেখুন
Scroll to Top